ইমাম মাহাদীর আগমনের লক্ষন - ১ - ALHAMDULILLAH MEDIA

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি। অত:পর আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আল্লাহ তাআলা কবুল করুক। এই সময়ে ইসলামি ব্লগ অত্যন্ত জনপ্রিয় উঠেছে। এই বিপ্লবের গনজোয়ারে ইসলামের সঠিক ও চূড়ান্ত বার্তা পৌঁছাতে পোষ্ট গুলো বেশি বেশি শেয়ার করুন। আল্লাহ তা আলা আমাদের কবুল করুন। আমিন

Breaking

Home Top Ad

কুরআন ও হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী গুলো সবাইকে জানিয়ে সচেতন করতে চাই।

Post Top Ad

এখানে এ্যাড দেওয়া হবে

Monday

ইমাম মাহাদীর আগমনের লক্ষন - ১


★ হজ্জের সময় মিনায় গণহত্যা

হযরত আমর ইবনে শুয়াইব এর দাদা থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন
,'যুলকা'দা মাসে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ঘটনা ঘটবে। ফলে হজ্জ পালনকারীরা লুন্ঠিত হবে এবং মিনায় যুদ্ধ সংঘটিত হবে। সেখানে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে এবং ভয়াবহ রক্তের স্রোত বয়ে যাবে। এমনকি তাদের রক্ত আকাবাতুল জামরার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাবে। অবশেষে তাদের নেতা (হযরত মাহদী) পালিয়ে রোকন ও মাকামে ইব্রাহিমের মধ্যখানে চলে আসবে। তাঁর অনীহা সত্ত্বেও মানুষ তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে। তাঁকে বলা হবে,আপনি যদি আমাদের বাইয়াত দিতে অস্বীকার করেন,তাহলে আমরা আপনার গর্দান উড়িয়ে দিব। বদর যুদ্ধের সমসংখ্যক মানুষ তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে। সেদিন যারা তাঁর হাতে বাইয়াত নিবে,আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।' (মুসতাদরাকে হাকেম,খ.৪,পৃ. ৫৪৯)

মুসতাদরাকের অপর এক বর্ণনায় আছে,হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযি.) বলেছেন,"লোকেরা যখন হযরত মাহদীর কাছে আগমন করবে,তখন হযরত মাহদী কাবা'কে জড়িয়ে ক্রন্দনরত অবস্থায় থাকবেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযি.) বলেন,আমি যেন তাঁর অশ্রু দেখতে পাচ্ছি। মানুষ হযরত মাহদীকে বলবে,আসুন আমরা আপনার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করি। হযরত মাহদী উত্তরে বলবেন,আফসোস! তোমরা কত রক্তই না ঝরিয়েছ, কত প্রতিশ্রুতিই না ভঙ্গ করেছ! অবশেষে অনীহা সত্ত্বেও তিনি লোকদের বাইয়াত দিবেন। (এই পর্যায়ে এসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযি.) বলেন),ওহে মানুষ! তোমরা যখন তাঁকে পাবে,তখন তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে। কারণ তিনি দুনিয়াতেও 'মাহদী', আসমানেও 'মাহদী'।"

এই হাদীসে মিনায় ব্যাপক হত্যাকান্ড ঘটবে বলা হয়েছে। এত বড় একটা ঘটনা হঠাৎ ঘটবে না। বরং ইসলামের শত্রুরা আগে থেকেই এর প্রস্তুতি নিয়ে রাখবে। আর বাইয়াত গ্রহণকারির সংখ্যা হবে বদরের মুজাহিদদের সমান অর্থাৎ তিনশো তেরোজন।

ইমাম যুহরী বলেছেন,'হযরত মাহদীর আত্মপ্রকাশের বছর দুজন ঘোষক ঘোষণা করবে। একজন আকাশ থেকে,অপরজন দুনিয়া থেকে। আকাশের ঘোষক ঘোষণা করবে,'হে লোক সকল! তোমাদের নেতা অমুক ব্যক্তি।' আর পৃথিবীর ঘোষক ঘোষণা করবে,'ঐ ঘোষণাকারী মিথ্যা বলছে।' একপর্যায়ে দুনিয়ার ঘোষণাকারী যুদ্ধ ঘোষণা করবে। এমনকি গাছের ডালপালা রক্তে লাল হয়ে যাবে সেদিন। সেদিনকার বাহিনীটি সেই বাহিনী,যাকে 'জাইশুল বারাযি' তথা 'জিনওয়ালা বাহিনী' বলা হয়। তারা তাদের ঘোড়াগুলোর জিন ছিড়ে ছিড়ে ঢাল বানাবে। সেদিন যারা আকাশের ঘোষকের ঘোষণায় সাড়া দিবে,তাদের মধ্য হতে বদরী মুজাহিদদের সমসংখ্যক লোক প্রাণে রক্ষা পাবে।"

হযরত আলী (রাযি.) বলেন,'মদীনা অভিমুখে একটি বাহিনী পাঠানো হবে। তারা এসে আলে বাইতকে হত্যা করবে। ফলে মাহদী ও মুবায়্যাজ মদীনা থেকে পালিয়ে যাবেন।' (মুনতাখাব কানযুল উম্মাল,খ.৬,পৃ.৩৩)

No comments:

Post a Comment

ALHAMDULILLAH MEDIA