লদাখ সীমান্তে ভারত ও চীন যুদ্ধ আমাদের কি মেসেজ দেয়? - ইসলাহ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি। অত:পর আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আল্লাহ তাআলা কবুল করুক। এই সময়ে ইসলামি ব্লগ অত্যন্ত জনপ্রিয় উঠেছে। এই বিপ্লবের গনজোয়ারে ইসলামের সঠিক ও চূড়ান্ত বার্তা পৌঁছাতে পোষ্ট গুলো বেশি বেশি শেয়ার করুন। আল্লাহ তা আলা আমাদের কবুল করুন। আমিন

Breaking

Home Top Ad

কুরআন ও হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী গুলো সবাইকে জানিয়ে সচেতন করতে চাই।

Post Top Ad

এখানে এ্যাড দেওয়া হবে

Monday

লদাখ সীমান্তে ভারত ও চীন যুদ্ধ আমাদের কি মেসেজ দেয়?

লদাখ সীমান্তে ভারত ও চীন যুদ্ধ খুব একটা বেশিদুর পর্যন্ত যাবে না বলেই আমি মনে করি।কারন লাদাখ সীমান্তে কোন তৈল গ্যাস বা সোনা নেই। অযথা কোন স্বার্থ ছাড়া চীন ও ভারত দীর্ঘদিন এই যুদ্ধে অর্থ ও সেনা খরচ কারবে না।
তবে কেন এই যুদ্ধ? 

আসুন আমরা মুদ্রার ভিন্ন পিঠ দেখার চেষ্টা করি।ভারতের মহারাষ্ট্র ২ হাজার ইহুদি বসবাস  করে সমগ্র ভারতে ৪ হাজার ৬৫০ জনের একটি বিশাল ইহুদিদের প্রাচীন গোত্র ভারতে বসবাস করে যাদের অদি বংশের বসবাস ছিল ইস্রাইল।

তৈরাত কিতাবের আয়াত পরিবর্তন ও মদ ও সুদের ব্যাবসা নিজেদের জন্য হালাল করে সত্য মসিহ যিশুখ্রিস্ট হযরত ঈসা (আঃ) কে হত্যার পরিকল্পনা করার  ফলে ইহুদিদের আল্লাহ তায়ালা পবিত্রভুমি জেরুজালেম ও সমগ্র ইস্রাইল থেকে বিতাড়িত করেছিল।

আল্লাহ তায়ালা এ প্রসজ্ঞে বলেন,

আমি ইহুদিদের ২ বার শাস্তি দিয়ে ইহুদিদের পবিত্রভুমি জেরুজালেম  ইস্রাইল থেকে ইহুদিদের বের করে দিয়েছি ফলস্রুতিতে এরা দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে  বসবাস করা শুরু করেছে।

সুরা আরাফ-১৬৮

এর পর থেকেই বনী ইস্রাইলের একটি গোত্র ভারতে বসবাস করা শুরু করে। ভারত ছাড়া ইউরোপ আমেরিকাতেও ইহুদি বসবাস করে কিন্তু
সেই ২০০০ বছর আগে থেকেই বনী ইস্রাইলের  ইহুদিদের একটি বংশিয় গোত্র ভারতের মহারাষ্ট্রে বসবাস শুরু করে।ভারতের হিন্দুরা গরুর পুজা করতে অনুপ্রানিত হয়  মুলত ইহুদিদের কাছ থেকে।

ভারতের হিন্দু আর বনী ইস্রাইলের ইহুদিদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে।হিন্দুদের গরু পুজার শুরু হয়েছিলো ইস্রাইল থেকেই

আল-কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,এই প্রসজ্ঞে বলেন

হে মুসা আমি তোমার সম্প্রদায় (বনী ইস্রাইলকে) পরীক্ষা করেছি একটি গরুর বাছুর দিয়ে উক্ত এলাকার সমীরি নামক ব্যাক্তিটি তাহাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করেছে।আমার এ কথা শুনে নবী মুসা তার সম্প্রদায় (বনী ইস্রাইলের) কাছে ফিরে গেল রাগ আর ক্ষুব্ধ হয়ে এবং তাদের বলল হে আমার সম্প্রদায়  ইস্রাইলবাসীরা তোমরা বলেছিলে যে তোমরা আর কুফরি করবে না তবে আবার কেন(গরুর বাছুরের পুজা) কুফরি করা শুরু করেছ আল্লাহ তায়ালা কি তোমাদের উত্তম প্রতিশ্রুতি দ্যাননি অথচ তোমরা আবার কুফরি (একটি বাছুর পুজা) শুরু করেছ।তোমরা কি চাও তোমাদের উপর আল্লাহ তায়ালার আযাব পতিত হোক।তবে কেন ওয়াদা ভজ্ঞ করলে?

অতঃপর ইস্রাইলবাসিরা প্রতিউত্তরে বলেছিলো সমীরি নামক ব্যাক্তিটি অলংকার গয়না দিয়ে একটি সোনার বাছুর বানিয়ে আনে এই বাছুরটি গরুর মত ডাকত। সমীরির বানানো গরুর বাছুরের  ডাক শুনে ইস্রাইলবাসীরা অনেকেই বলতে লাগল এই গরুর বাছুর আমাদের প্রভু এবং মুসারও প্রভু।ধিক্কার জানাই তোমাদের বুদ্ধির উপর তারা একবারও চিন্তা করেনা এই গরুর বাছুর তাদের কথায় সাড়া দ্যায়না এবং তাদের কোন উপকার বা ক্ষতি করতে পারেনা।অথচ ইস্রাইলবাসিকে মুসার ভাই হারুন বলেছিল হে ইস্রাইলের লোকেরা সমীরির হাতে বানানো এই সোনার বাছুরের মুখে আল্লাহ তায়ালা ডাক দিয়ে দিয়েছেন যাতে করে তোমাদের ঈমানের পরীক্ষা আল্লাহ নিতে পারেন।

সুরা ত্বাহা আয়াত ৮৫-৯০

সেই থেকেই ভারত ও বনী ইস্রাইলের সেই গোত্র একত্রে গরুর পুজা করে আসছে।এখনও ভারতে গোমুত্র সেবন ও গরুর পুজা করা হয়।

আমি মনে করি সিক্রেট সোসাইটির নির্দেশে সমগ্র দুনিয়াতে করোনা মহামারি তৈরী করা হয়েছে।

আমেরিকা ইস্রাইলের মিডিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় সিক্রেট সোসাইটির পরিকল্পনায় একটি ভুয়া  মহামারি তৈরি করা হয়েছে যার অস্তিত্ব বাস্তবে নেই শুধু মিডিয়াতে এর অস্তিত্ব রয়েছে।

এই মহামারির উদ্দেশ্য হচ্ছে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের অবশিষ্ট ইহুদিরা যাতে  মহামারিতে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের সংকট লুটপাট মারামারিতে আক্রান্ত হয়ে দ্রুত জেরুজালেম ইস্রাইলে প্রবেশ করে।

১৮ এপ্রিলে ইস্রাইলের শীর্ষ পত্রিকা তাদের শিরনামে খবর ছাপিয়েছে যে করোনা মহামারির কারনে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অবশিষ্ট ইহুদিরা প্রবেশ করছে।

আমেরিকা ইউরোপে লকডাউন মারামারি লুটপাটের ফলে সেখান থেকে অবশিষ্ট  ইহুদিরা দলে দলে ইস্রাইল প্রবেশ করছে।

ভারতের মহারাষ্ট্রে ৪ হাজার ৬৫০ জন ইহুদি বসবাস করে আসছে সেই প্রাচীন কাল থেকেই।সিক্রেট সোসাইটির নির্দেশে ভারত still now lockdown করে রাখা হয়েছে। এবার  লাদাখ সীমান্তেও চাইনিজদের সাথে একটি যুদ্ধের উত্তেজনা ও ভীতি তৈরী করা হয়েছে এর ফলস্রুতিতে ভারতে  থেকেও অবশিষ্ট ইহুদিরা ইস্রাইল প্রবেশ করতে বাধ্য হবে বলেই মনে হচ্ছে

তাই আমি মনে করে সিক্রেট সোসাইটির নির্দেশেই সব কিছু হচ্ছে।আর ভারতে এবার দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের সংকট + চাইনিজদের সাথে যুদ্ধের সংকটে অবশিষ্ট ইহুদিরাও ইস্রাইলে প্রবেশ করবে।

বস্তুত

সিক্রেট সোসাইটি তাদের মসিহ Anti-christ কে বের করার জন্য এবার উঠে পরে লেগেছে। তারা প্রফেসির ভবিষৎবাণী জানে যে দুনিয়ার সমস্ত ইহুদি ইস্রাইলে প্রবেশ না করলে ইহুদিদের বহুপ্রতিক্ষিত মসিহ আত্মপ্রকাশ করবে না।

উক্ত বিষয়ে
রাসুল (সঃ) বলেছেন বায়তুল মুকাদ্দিস জেরুজালেম প্রতিষ্ঠা পেলে দুনিয়াতে মহাযুদ্ধ শুরু হবে।মহাযুদ্ধের পরে তোমাদের মাঝে দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে-৪২৪৪

২০১৭ সনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প  বায়তুল মুকাদ্দিস ইস্রাইলের রাজধানী  জেরুজালেম ঘোষনা করে দিয়েছে।১৯৪৮ সন থেকে  ইহুদিরা ইস্রাইলে বসবাস শুরু করেচ বায়তুল মুকাদ্দিস জেরুজালেম পুনঃ প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। রাসুল (সঃ) এর ভবিষৎবাণীমুলক হাদিস আবু দাউদ ৪২৪৪-৪২৪৫ -৪২৯৪ থেকে ভবিষৎবাণী পাওয়া যায় যে দাজ্জাল আগমনের আগে ইহুদিরা দলে দলে যে পুনরায় ইস্রাইল প্রবেশ করে জেরুজালেমকে ইহুদিদের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে সেই ইজ্ঞিত পাওয়া যায়।

কেননা ইস্রাইলের জেরুজালেম বায়তুল মুকাদ্দাস  রাসুল (সঃ) এর জামানাতে একেবারেই জনমানবহীন ছিল।

এর পরেই রাসুল (সঃ) আমাদের সতর্ক করে বলেছেন  ইহুদিরা জেরুজালেম প্রতিষ্ঠা করে ফেললেই দুনিয়াতে ভয়াভহ ফিতনা(ঝামেলা) ও মহাযুদ্ধ  শুরু হবে এবং উক্ত হাদিস এর শেষ প্রান্তে তিনি বলেছেন মহাযুদ্ধের পরেই তোমাদের মাঝে দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে।

এখানে মহাযুদ্ধ বলতে রাসুল (সঃ) বুঝিয়েছেন পারমাবিক মহাযুদ্ধ। কারন
আবু দাউদ ৪২৭৮ হাদিসে রাসুল (সঃ) বলেছেন আকাশে তীব্র ধোয়া যখন দেখা যাবে তখন দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে।

উক্ত হাদিস থেকে বুঝা যায় পারমানবিক বোমার হামলাতে আকাশে ধোয়া তৈরী হবে।মুসলিম শরিফ ৭০৫৬ ও আবু দাউদ-৪২৪৪-৪২৯৪ থেকে বুঝা যায় মহাযুদ্ধ যাতে প্রতি হাজারে ৯৯৯ মারা যাবে যে যুদ্ধকে রাসুল (সঃ) আল মালহামা বলে উল্লেখ করেছেন তা অবশ্যই পারমাবিক মহাযুদ্ধ।

আমার বন্ধুরা প্রায় সবাই জানে আমি  বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিতিকে কে সব সময় কোরআন হাদিসের প্রেক্ষাপটের সাথে বর্তমান ইহুদিদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা উন্মোচন করার চেষ্টা  করেছি।

কারন আমি মনে করি সিক্রেট সোসাইটির নির্দেশে করোনার নামে এই ভুয়া মহামারি তৈরী করা হয়েছে যার অস্তিত্ব শুধুই মিডিয়াতে।এবং এই ফেইক মহামারির মুল উদ্দেশ্য দুনিয়াতে একটি আমেরিকা ইউরোপের মত যেসব রাষ্ট্রে ইহুদিদের গোত্র বসবাস করে সেসব রাষ্ট্রে জোরপুর্বক দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন মারামারি-হানাহানি-লুটপাট তৈরী করে অবশিষ্ট ইহুদিদের পবিত্রভুমিতে ফিরিয়ে নেয়া। যার ফলস্রুতিতে যেন খুব শীঘ্রই একটি মহাযুদ্ধ বাধিয়ে বহুপ্রতিক্ষিত মসিহকে বের করে আনা যায়।

ইস্রাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে সমগ্র দুনিয়াতে করোনা ভাইরাসের মহামারি দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের সংকটের কারনে ইস্রাইলে প্রবেশ করেছে ৯০,০০০ অবশিষ্ট  ইহুদি।

ইস্রাইলী এম্বাসি এটাও জানিয়েছে আমেরিকাতে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন গৃহযুদ্ধ মারামারি লুটপাটের কারনে আমেরিকান ইহুদিরা ভাল নেই।লকডাউন শেষ হলেই তারা ইস্রাইলে প্রবেশ করতে চায়।

তাহলে এবার বোঝাই গেল দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের অবশিষ্ট ইহুদিদের পবিত্রভুমিতে ফিরিয়ে নিয়ে আসাই হল করোনা ভাইরাসের মত ফেক মহামারি তৈরীর মুল উদ্দেশ্য।

No comments:

Post a Comment

ALHAMDULILLAH MEDIA