হযরত মাহদী আবির্ভাবের লক্ষণ - ৪ - ইসলাহ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি। অত:পর আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আল্লাহ তাআলা কবুল করুক। এই সময়ে ইসলামি ব্লগ অত্যন্ত জনপ্রিয় উঠেছে। এই বিপ্লবের গনজোয়ারে ইসলামের সঠিক ও চূড়ান্ত বার্তা পৌঁছাতে পোষ্ট গুলো বেশি বেশি শেয়ার করুন। আল্লাহ তা আলা আমাদের কবুল করুন। আমিন

Breaking

Home Top Ad

কুরআন ও হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী গুলো সবাইকে জানিয়ে সচেতন করতে চাই।

Post Top Ad

এখানে এ্যাড দেওয়া হবে

Tuesday

হযরত মাহদী আবির্ভাবের লক্ষণ - ৪



সুফিয়ানির পরিচয়
হযরত আলী (রাঃ) বলেন,
“সুফিয়ানি – যে লোক শেষ যুগে সিরিয়াতে দখল প্রতিষ্ঠা করবে সে বংশগতভাবে খালিদ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ানের বংশোদ্ভুত হবে। তার মাথা হবে বড় এবং মুখে শ্বেতরোগের দাগ থাকবে। এক চোখে একটি সাদা দাগ থাকবে। দামেশকের দিক থেকে তার আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তার সহচরদের মধ্যে “কালব্যিয়া” বা “কাল্ব” গোত্রের লোক বেশি হবে। মানুষের রক্ত ঝরানো তার বিশেষ অভ্যাসে পরিণত হবে। যে লোকই বিরোধিতা করবে, তাকেই হত্যা করা হবে। এমনকি গর্ভস্থিত সন্তানদের পর্যন্ত হত্যা করবে। যখন হারাম শরীফে ইমাম মাহদী  (আঃ) এর আগমনের খবর প্রকাশ পাবে তখন এই শাসক ইমাম মাহদী (আঃ) এর বিরুদ্ধে একটি বাহিনী প্রেরণ করবে”। (মাজাহিরে হক জাদিদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৩)
“শুরুর দিকে তারা ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে, পরে যখন শক্তি ও ক্ষমতা পাকাপোক্ত হয়ে যাবে, তারা অত্যাচার-অবিচার ও অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়বে”। (ফয়জুল কদির, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ১২৮)
অর্থাৎ প্রথমে তাদেরকে মুসলমানদের মাঝে মহান নেতা বা হিরো হিসাবে উপস্থাপন করা হবে, কিন্তু পরে তাদের আসল রূপ প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।
“প্রথম বাহিনী বায়দায় ধ্বসে যাওয়ার পর ইমাম মাহদী মুজাহিদদের নিয়ে সিরিয়ার দিকে এগিয়ে যাবেন, সেখানে অন্য এক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করবেন এবং তাদেরকে পরাজিত করবেন। এই যুদ্ধটি “কাল্ব যুদ্ধ” নামে হাদিসে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই বাহিনীর নেতার উপাধি ‘সুফিয়ানি’ (বনু কালব গোত্রের এক কুরায়শী)। হযরত মাহদী (আঃ) তাবারিয়া হ্রদের কাছে এই শাসককে হত্যা করবেন”। (আসসুনানুল ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান)
নুয়াইম ইবনে হাম্মাদ আলফিতানে একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন যে, হযরত কা’ব (রাযি.) বলেছেন,” আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াজিদ নারীদের গর্ভধারণের মেয়াদের সমান সময় রাজত্ব করবেন। তিনি হলেন আল আজহার ইবনুল কালবিয়্যা কিংবা আয–যুহরী ইবনুল কালবিয়্যা, যে সুফিয়ানী নামে পরিচিত হবে। হযরত কা’ব (রাযি.) থেকে আরো একটি বর্ণনা আছে যে, তিনি বলেছেন, সুফিয়ানের নাম হবে আব্দুল্লাহ।” ( আল ফিতান, খন্ড.১, পৃষ্ঠা. ২৭৯)
আল ফিতান এর অপর একটি বর্ণনায় আছে, ”সুফিয়ানীর আত্মপ্রকাশ ঘটবে শামের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ’ইন্দর’ নামক অঞ্চল থেকে।” (আল ফিতান,খ.১,পৃ.২৭৮)
’ইন্দর’ বর্তমানে দক্ষিণ ইসরাইলের আন–নাসেরা জেলার একটি পল্লী এলাকা। ১৯৪৮ সালের ২৪মে ইসরাইল এটা দখল করে নেয়।
পর্ব ৩- 

No comments:

Post a Comment

ALHAMDULILLAH MEDIA