উমার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) এর নামায - সাহাবীদের কাহিনী - ইসলাহ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি। অত:পর আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আল্লাহ তাআলা কবুল করুক। এই সময়ে ইসলামি ব্লগ অত্যন্ত জনপ্রিয় উঠেছে। এই বিপ্লবের গনজোয়ারে ইসলামের সঠিক ও চূড়ান্ত বার্তা পৌঁছাতে পোষ্ট গুলো বেশি বেশি শেয়ার করুন। আল্লাহ তা আলা আমাদের কবুল করুন। আমিন

Breaking

Home Top Ad

কুরআন ও হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী গুলো সবাইকে জানিয়ে সচেতন করতে চাই।

Post Top Ad

এখানে এ্যাড দেওয়া হবে

Saturday

উমার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) এর নামায - সাহাবীদের কাহিনী

উমার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) এর নামায


নবী (সাঃ) কোন এক যুদ্ধ থেকে ফিরছিলেন। এক পাহাড়ী এলাকায় এসে সন্ধ্যা হলো। পাহাড়ের এই উপত্যকায় রাত্রি কাটাবেন বলে তিনি মনস্থ করলেন। তিনি পাহাড় থেকে কিঞ্চিত দূরে সমতল উপত্যকায় তাঁবু খাটাতে নির্দেশ দিলেন।

রাত্রিবাসের সব ব্যবস্থা সম্পন্ন হলে তিনি সাহাবাদের জিজ্ঞেস করলেন, “কাফিলা ও সৈন্যদলের পাহারায় আজ কাদের রাখা যাবে?” অমনি একজন মুহাজির ও একজন আনসার উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “এ দায়িত্ব আজকের রাতের জন্য আমাদের দিন।” মহানবী তৎক্ষণাৎ সন্তুষ্টচিত্তে তাদের আবেদন মঞ্জুর করলেন। তিনি তাদের নির্দেশ দিলেন, “পাহাড়ের ঐ এলাকা দিয়ে শত্রু আসবার ভয় আছে, ঐ খানে গিয়ে তোমরা দু’জন পাহারা দাও।”

মুহাজিরের নাম ছিল আবদুল্লাহ ইবন বাশার (রাঃ) আর আনসার ব্যক্তির নাম ছিল উমার ইবন ইয়াসির (রাঃ)। মহানবী (সাঃ) এর নির্দেশ মুতাবিক তাঁরা পাহাড়ের নির্দিষ্ট জায়গায় চলে গেলেন। অতঃপর আনসার মুহাজির ব্যক্তিকে বললেন, “আমরা দু’জনেক সংগে না জেগে বরং পালা করে পাহারা দেই। রাতের দুই ভাগ করে একাংশ তুমি জাগবে, অপর অংশে জাগব আমি। এতে করে দু’জন একসঙ্গে ঘুমিয়ে পরার ভয় থাকবে না।”

এই চুক্তি অনুসারে রাতের প্রথম অংশের জন্য মুহাজির আবদুল্লাহ ইবন বাশার (রাঃ) ঘুমালেন। আর পাহারায় বসলেন আনসার উমার ইবন ইয়াসির (রাঃ)।

পাশে আবদুল্লাহ (রাঃ) ঘুমাচ্ছেন। ইয়াসির (রাঃ) বসে ছিলেন পাহারায়। শুধু শুধু বসে বসে আর কতক্ষন সময় কাটানো যায়। অলসভাবে সময় কাটাতে ভালো লাগছিল না তাঁর। কাজেই ওযু করে নামাযে দাঁড়ালেন। এমন সময় পাহাড়ের ওপাশ থেকে আসা শত্রুদের মধ্যে একজনের নজরে পড়ে গেলেন তিনি। এক ব্যক্তিকে ওভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আর কেউ আছে কিনা তা পরখ করার জন্য আন্সারকে লক্ষ্য করে সে তীর ছুড়লো। পরপর দু’টি তীর গিয়ে তাঁর পাশে পড়ল। কিন্তু আনসার অচল অটল ভ্রুক্ষেপহীন। তৃতীয় তীর গিয়ে ইয়াসির (রাঃ) এর পায়ে বিদ্ধ হলো। ইয়াসির (রাঃ) তবুও অচঞ্চল। এই ভাবে কয়েক্তি তীর পরপর তাঁর গায়ে গিয়ে বিঁধল। ইয়াসির (রাঃ) তীর গুল গাঁ থেকে খুলে ফেলে রুকু সিজদাহসহ নামায শেষ করলেন। নামায শেষ করে ইয়াসির (রাঃ) আব্দুল্লাহ (রাঃ) কে ডেকে তুললেন। আবদুল্লাহ (রাঃ) তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ালেন। দূরে পাহাড়ে এ পাশে দাঁড়ানো শত্রু একজনের স্থলে দুজনকে দেখে মনে করল, নিশ্চই আরও লোক পাহারায় আছে। এই ভাবে আর সামনে বাড়াতে সাহস পেলো না। পালিয়ে গেল। আবদুল্লাহ (রাঃ) জেগে উঠে ইয়াসির (রাঃ) এর রক্তাক্ত দেহের দিকে তাকিয়ে বললেন, “কেন তুমি আমাকে আগেই জাগাওনি?”

আনসার উমার ইবন ইয়াসির (রাঃ) বললেন, “আমি নামাযে সুরা কাহাফ পড়ছিলাম। সুরাটা শেষ না করে রুকু দিতে মন চাইছিল না। কিন্তু ভাবলাম যদি তীর খেয়ে মরে যাই, তাহলে আদিষ্ট পাহারার দায়িত্ব পালন করা হবে না। তাই তাড়াতাড়ি রুকু সিজদাহ করে নামায শেষ করেছি। এ ভয় না থাকলে মরে গেলেও সুরা খতম না করে আমি রুকুতে যেতাম না।”

No comments:

Post a Comment

ALHAMDULILLAH MEDIA