সামাজিক ক্ষেত্রে দাজ্জালি ষড়যন্ত্র রুখতে মুসলিম পুরুষদের দায়িত্ব - ইসলাহ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি। অত:পর আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আল্লাহ তাআলা কবুল করুক। এই সময়ে ইসলামি ব্লগ অত্যন্ত জনপ্রিয় উঠেছে। এই বিপ্লবের গনজোয়ারে ইসলামের সঠিক ও চূড়ান্ত বার্তা পৌঁছাতে পোষ্ট গুলো বেশি বেশি শেয়ার করুন। আল্লাহ তা আলা আমাদের কবুল করুন। আমিন

Breaking

Home Top Ad

কুরআন ও হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী গুলো সবাইকে জানিয়ে সচেতন করতে চাই।

Post Top Ad

এখানে এ্যাড দেওয়া হবে

Tuesday

সামাজিক ক্ষেত্রে দাজ্জালি ষড়যন্ত্র রুখতে মুসলিম পুরুষদের দায়িত্ব




দাজ্জালের ফেতনা রুখতে মুসলিম নারী জাতির দায়িত্ব বিশাল দেখে আমার পুরুষ ভাইয়েরা আবার এটা ভাববেন না যে তাদের কোন দায়িত্ব নেই ফেতনা রুখতে। বরং যেহেতু আল্লাহ আপনাদের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে অধিক ক্ষমতাবান করেছেন সুতরাং ফেতনা মোকাবেলায় আপনাকে অধিক অগ্রগামী হতে হবে।

সাধারণত পুরুষদের মধ্যে দেখা যায় যে, তারা নিজেরা নামাজ রোজা ইত্যাদি যদিও সঠিকরূপে গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং জান্নাত অর্জনের জন্য পুণ্যের কাজে সময় লাগিয়ে থাকে, কিন্তু নিজের সন্তান, বোন এবং মেয়েদের ব্যাপারে ন্যুনতম পর্দা,নামাজের চিন্তা করেন না। আবার অনেকেই নামাজের প্রতি জোর দিলেও ওপর ফরজ ইবাদাত পর্দার প্রতি তারা বেজায় নাখোশ। যার ফলে, তাদের এবং আত্মীয় স্বজনদের ধর্মীয় জীবনযাপনে বিস্তর অমনোযোগী দেখা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে পুরুষগণ এ অলসতায় মনযোগ না দেওয়ার ফলে পরবর্তীতে তা আস্তে আস্তে প্রশস্ত হতে থাকে। ফলশ্রুতিতে এমন এক সময় এসে উপস্থিত হয় যে, সে তার স্ত্রী সন্তানকে একটি হারাম বস্তু থেকে নিষেধ করতে থাকলেও স্ত্রী সন্তান এটাকে যুগের ফ্যাশন বলে কোমর বেধে তা ব্যবহার করতে থাকে।
সুতরাং পুরুষদের উচিত – তাদের নিজেদের আখেরাত নিয়ে ফিকিরের পাশাপাশি পরিবার পরিজনকেও আগত সম্মুখ ঝড় থেকে বাঁচানোর ব্যবস্থাপনা তৈরি করে। তাদের কাছে সময় দিয়ে তাদের দ্বীনী শিক্ষা দীক্ষায় প্রতিপালন করেন। সামনের ভয়ানক পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।
এটা ভেবে বসে পড়বেন না যে, আমি তো একা। আমার কথা কে শুনবে আর কে মানবে। এমনটি কখনও ভাববেন না। আপনি যখনই উম্মতের দরদ নিয়ে আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তে কোন পদক্ষেপ নিবেন, তখন আল্লাহ পাকও আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাকে সাহায্য করবেন। ফলশ্রুতিতে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না – যে কাজটি আপনি একা শুরু করেছিলেন, এখন তা লাখো মুসলমানের কন্ঠ এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে রূপান্তরিত হয়েছে। কোন ময়দানে সাহস হারিয়ে ফেলা, নিরাশ হয়ে যাওয়া এবং মন ভেঙ্গে দেয়া হকের রাস্তায় কখনও বাধা হতে পারে না। এটা তো এমন পথ, যার মধ্যে শুধু অটল থাকাটাই সফলতার লক্ষণ, রাস্তা তো এমনিতেই তৈরি হতে থাকে।

আপনি সর্বদা হারাম গান-বাজনা,সিনেমা,খেলা দেখবেন,আর আপনার স্ত্রী সিরিয়াল দেখলেই আপনার যত ওয়াজ-নসীহত শুরু হয়ে যায়,এতে কোন লাভ নেই। আগে আপনি নিজে হারাম ছাড়ুন,তারপরই না আপনাকে দেখে আপনার পরিবার-পরিজন আগ্রহী হবে। আপনি যদি দ্বীন-আখিরাতে আগ্রহী হন,তবে একটা না একটা সময় আপনার পরিবারের উপরেও তার প্রভাব পড়বে। আপনার স্ত্রী,বোন,মাকে এই জামানার ভয়াবহ ফেতনা "দর্শনীয় পণ্য" তে পরিণত করবেন না। আপনি রাস্তাঘাটে,ফেসবুকে মেয়েদের বেপর্দা ছবি দেখে একদিকে হাদীস ছাড়বেন আবার লাইক,মাশা'আল্লাহও বলবেন,আবার নিজের ঘরের নারীদের উগ্র সাজসজ্জায় সজ্জিত করে ঘোরার সুযোগ দিবেন,তাতে তো ফেতনা প্রতিরোধের বদলে আরো বেড়ে যাবে। সুতরাং ভাইয়েরা আমার,আপনার ঘর আপনাকেই সামলাতে হবে। নিজের ঘর থেকেই আপনাকে ফেতনা প্রতিরোধ শুরু করতে হবে। নয়তো মহাযুদ্ধে যতই মুজাহিদ হয়ে অংশ নেবার অদম্য ইচ্ছা পোষণ করুন না কেন,সে ইচ্ছায় বাঁধাটা প্রথম আপনার ঘর থেকেই আসবে।

No comments:

Post a Comment

ALHAMDULILLAH MEDIA