চাঁদটা কত সুন্দর দেখেছেন, ছোট বেলায় বার্ষিক পরীক্ষার শেষে খুব বায়না করতাম আম্মুর কাছে মামার বাড়ি যাব বলে, তখন রাতের বেলায় উঠানের বরই গাছটার নিচে বসে, চাঁদনী রাতে গানের শেষ অক্ষর দিয়ে ছন্দ বলতাম, লুকোচুরি, কানামাছি আরো কত কি খেলা করতাম, যখন বাড়িতে আসতাম বন্ধুদের কাছে মামা বাড়ির বড় বড় গল্প বলতাম, এখন নানা-নানি নেই সেই আগের মত যাওয়া হয়ে উঠে না, গেলেও ছোট বাচ্চা গুলো এসে জিজ্ঞেস করে ভাইয়া আপনার মোবাইলে Games আছে, মামা আসে একটা Facebook আইডি খুলে দেয়ার জন্য, মামি জিজ্ঞেস করে IMO কিভাবে খুলে, সবাই নিজেকে নিয়ে যার যার মতো ব্যস্ত, উঠানের সেই বরই গাছটা এখনো আছে, কিন্তু সেখানে আর আগের মত গল্প করা হয় না, আগের মতো লুকোচুরি, সাত ভাই চম্পা, মাংস চুরি খেলা হয় না।হঠাৎ চোখ পড়ে পাশে বসে থাকা ছোট বাচ্চাটার দিকে কি সুন্দর Games এর Level গুলো Complete করতেছে, তখন মনে মনে ভাবি ইসস, আমি যদি আবার সেই ছোট বেলায় ফিরে যেতে পারতাম, তাহলে এই পর্নোগ্রাফি আর হস্তমৈথুন থেকে আগে সাবধান হয়ে যেতাম এসব কাজ কখনোই করতাম না, খুব ইচ্ছা করে,নিজেকে বিরত রাখি, কিন্তু পারিনা, ইচ্ছে করে এই আত্মাটাকে নিয়ে পৃথিবীটা ছেড়ে অন্য এক জগতে চলে যাই, যেখানে এই কালো অন্ধকার জগত থাকবে না, কি লাভ এভাবে জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে থেকে তার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভালো। মাঝে মাঝে ভাবি ঐ পরকালে জমা দেওয়ার মত এরকম কোন আমলতো আমার নেই কী লাভ হবে ঐ পাড়ে গিয়ে, জীবনটা দুই নৌকা মাঝে আটকে আছে, তিলে তিলে আত্মাটাকে আমি এমন এক আগুনে জ্বালিয়েছি যে এখন বার বার অনিচ্ছা, শর্তে হও ঐ আগুনে জ্বলতে হচ্ছে।
আপনার সাথে মিলে গেছে না, এটা শুধু আপনার গল্প না, এরকম লক্ষ লক্ষ ছেলে-মেয়ের আকুতি,পর্নোগ্রাফি ও হস্তমৈথুন থেকে বাঁচাতে চায়। এজন্য প্রিয় ভাই-বোন হতাশ হবেন না, আপনাদের কে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্যইতো আমাদের এই পর্নোগ্রাফি সিরিজ ইনশাআল্লাহ আপনি একদিন ফিরে আসতে পারবেন অন্ধকার থেকে হেরার আলোতে।
আজকে পর্নোগ্রাফি সিরিজ -- ৩
আজকের বিষয় ছিল পর্নোগ্রাফি ও হস্তমৈথুন করলে আপনার শারীরিক ও মানসিক জীবনে কি কি বিপর্যয় ও ক্ষতি নেমে আসতে পারে। তার আগে বলে রাখি যারা গত দুই সিরিজ পড়েন নাই তারা ঐ দুইটা সিরিজ পড়ে এই সিরিজটা পড়বেন। ইনশাআল্লাহ ।
No comments:
Post a Comment